• ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে ভাইস চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ ॥ আহত ১

admin
প্রকাশিত মার্চ ৩১, ২০১৬
বিশ্বনাথে ভাইস চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ ॥ আহত ১

Biswanath-Pic-30.03.16-768x503বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানের উপর চোরাগুপ্তা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার দশপাইকা বাজারস্থ ‘দৌলতপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে’ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দশপাইকা বাজারের পূবালী ব্যাংকের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছলে পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ-নূর উদ্দিন এই হামলার শিকার হন । এঘটনায় দেশীয় অস্ত্র (লোহার পাইপ ও রড) বহনকারী একটি লাল রংয়ের নোহা মাইক্রোবাস (সিলেট-চ ১১-০৩৯৯) আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন জনতা।
এদিকে, গাড়ি আটকের প্রতিবাদে উপজেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার রাত ৮টায় উপজেলা সদরের পরিবহন শ্রমিকের পক্ষ থেকে উপজেলা সদরের মাইকিং করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাশহুদুল কবীর’র পরিচালনায় দৌলতপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে ‘উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যানবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মোটর সাইকেল যোগে বিশ্বনাথ আসার পথিমধ্যে হামলার শিকার হন ভাইস চেয়ারম্যান। হামলায় ভাইস চেয়ারম্যানকে বহনকারী মোটর সাইকেলের চালক টুটুল (২৩) আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান আত্মরক্ষার্থে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তবে কারা হামলা করেছে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ-নূর উদ্দিন বলেন, সমন্বয় সভা শেষে বাড়ি ফেরার সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর (সুহেল) ভাই সুমন পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করা হয়। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা করতে সমন্বয় সভা দৌলতপুর ইউনিয়নের মিলনায়তনে করা হয়েছে। ওই সভা বিআরডিবি অফিসে করা যেত। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মাসিক সমন্বয় সভা সম্পন্ন হয়েছে। জনগণের রোষানলে পড়েছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, তাঁর ও ভাইয়ের উপর আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমন্বয় সভা শেষ হয়েছে। সভা শেষ হওয়ার পর মিলনায়তন থেকে বেশ দূরে মানুষজনকে ছোটাছুটি করতে দেখলাম। বিষটি বুঝতে পারিনি। ভাইস চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অভিযোগপত্রটি থানায় প্রেরণ করা হবে।
‘গাড়ীটি’ পুলিশের কাছে সোর্পদ করার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি আবদুল হাই বলেন, কি কারণে গাড়ীটি সোর্পদ করা হয়েছে তা আমার নেই, তবে গাড়ীটি পুলিশের কাছে রয়েছে। তদন্ত পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।