
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পাথর ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী হত্যা মামলায় ১১ আসামীর সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক সৈয়দ হুমায়ুন আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামের কছির মিয়ার পুত্র গুলজার হোসেন (২৮), একই গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন (২২), তার সহোদর আমির উদ্দিন (২৬), ইসলাম উদ্দিন (৩০), মৃত খুশিদ আলীর পুত্র কালা মিয়া (২৫), কছির মিয়ার পুত্র হাবিল মিয়া (২০), বশির মিয়ার পুত্র ইলিয়াছ মিয়া (৩০), মোবাশ্বির আলীর পুত্র সামছুদ্দিন (২৭), মন্তাজ মিয়ার পুত্র কয়েছ মিয়া (২২), মৃত খুর্শিদ আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ (৩৬) ও তার সহোদও মতিন মিয়া (২৮)। গতকাল রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২২ মার্চ রাত ৯ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামগঞ্জ বাজারের বেবিটেক্সি ষ্ট্যান্ডে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে লিয়াকত আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ হাছেন মিয়া বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ১৭ (২৩-০৩-২০১০)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৮ জুন সিলেট পুলিশের সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক জি এম হামিদুর রহমান ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল বুধবার মামলার রায় দেন। রায়ে আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দন্ডবিধির ১৪৩/৩২৫/৩২৬/৩০২/৩৪ ধারায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট এসএম পারভীন ও আসামীপক্ষে এডভোকেট বদরুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।