
নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত বছর ধরে প্রেম করে অবশেষে প্রেমিকের সাথে প্রতারণা করায় ক্ষুব্দ হয়ে প্রেমিকাকে রক্তাক্ত করেছে এক প্রেমিক। রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে প্রেমিক-প্রেমিকার ধ্বস্তা-ধ্বস্তির দৃশ্যটি দেখে স্থানীয় লোকজন প্রেমিকাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ আর প্রেমিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত ফাতেমা আক্তার এনি (২০) দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে স্থানীয় তেতলী ইউনিয়নের বদিকোনা গ্রামের নূর আলীর আব্দুল মেয়ে। লিটন মিয়া (২২) নগরীর নয়াসড়কস্থ চারাদিঘির পারের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে।
কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার জানান, শনিবার ছাত্রীটি এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি যাওয়ার পথে বখাটে লিটন তাকে ছুরিকাঘাত করে। বিকাল সোয়া ৪টায় তিনি জানান, ছাত্রীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আটক প্রেমিক লিটন জানান, ফাতেমার সাথে লিটনের দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রেম ও মন দেয়া-নেয়া ছিলো। প্রচুর টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ফাতেমাকে দেয় লিটন। গত দুই মাস ধরে ফাতেমা লিটনকে এড়িয়ে চলছিলো। এতে ক্ষুব্দ ছিলো লিটন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে চন্ডিপুল এলাকায় ফাতেমার সাথে দেখা করে লিটন। কিন্তু উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয় তিক্ততার সাথে। এক পর্যায়ে লিটন ক্ষুব্দ হয়ে ফাতেমার হাত থেকে কলম নিয়ে তার বুকে আঘাত করে। শুরু হতে থাকে রক্তকরন। ফাতেমার আর্তচিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন প্রথমে ফাতেমা নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি(সদর দক্ষিণ) জেদান আল মুসা ছাত্রী ঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বখাটেকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতালে ছাত্রীটির চিকিৎসা চলছে। থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।