
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচালিত অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি নবম জঙ্গির নাম-পরিচয়। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৩৮ দিন। এ সময়ে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি তার পরিচয়।
এদিকে নিহত জঙ্গিদের পরিবারের কেউ এখনো তাদের লাশ নিতে আসেনি। মর্গে থাকা লাশগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষও। এ ব্যাপারে জানিয়ে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল।
গত ২৫ জুলাই রাতে কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বাড়ি’ নামে পরিচিত একটি বহুতল ভবনের পঞ্চম তলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন পুলিশের সদস্যরা। পরে সারা রাত বাড়িটি ঘিরে রেখে ভোররাতে সেখানে সোয়াতের নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স’ নামের অভিযান চালায় পুলিশ। তাতে নিহত হয় নয়জন।
এরপর তাদের ছবি প্রকাশ করে পরিচয় শনাক্ত করতে সবার কাছে তথ্য চায় পুলিশ। একই সঙ্গে নিহতদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ব্যবহৃত আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সাতজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়। পরদিন আরেকজনের পরিচয় জানায় পুলিশ। তবে ডিএমপি প্রকাশিত লাশের ছবির নবম জনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
যে আটজনের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- ঢাকার গুলশানের আকিফুজ্জামান খান (২৪), বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), ধানমন্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির ওরফে তারেক, সাতক্ষীরার মতিউর রহমান (২৪), দিনাজপুরের আবদুল্লাহ (২৩), পটুয়াখালীর আবু হাকিম নাইম (২৪) এবং নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন (২২)।
কল্যাণপুরের ঘটনার এক দিন পর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। এ মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নবম জঙ্গির পরিচয় জানতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তার আঙুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলেও তা কোনোটির সঙ্গে মিলেনি। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার ছবি প্রকাশিত হলেও এখনো কেউ লাশটি শনাক্ত করতে আসেনি।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এখনো নবম জঙ্গির খোঁজে কেউ আসেনি। তার লাশ অন্য আটজনের মতো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে।
(বাংলার আলো/৬সেপ্টেম্বর/ডিটি/এএ.ঘ)