
সিলেট নগরীর জল্লারপাড় রোডের ‘পাঁচভাই’ রেস্টুরেন্ট। নাম-খ্যাতির কারণে ভোজন রসিকদের ভীড় সবসময়েই লেগে থাকে এই রেস্টুরেন্টে। তাছাড়া সিলেট বেড়াতে আসা পর্যটকের পছন্দের শীর্ষেও রয়েছে এটি। তবে এমন নাম-ঢাকের এই রেস্টুরেন্টের একবার যারা খেতে আসেন; দ্বিতীয় বার আসারও নাম নেন না তারা।
কেননা; খাবারের মানের পাশাপাশি খাবার পরিবেশকদের অসদাচরণ আর দুর্ব্যবহারের কারণেই পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেন সেখান থেকে। সর্বশেষ বুধবার রাতে এমনই পরিস্থিতির শিকার হন রাজশাহী থেকে আসা একদল পর্যটক। খাবার পরিবেশকরা দলবদ্ধ হয়ে চড়াও হয় তাদের ওপর। তবে বিষয়টির সমাধানে শুধু মাত্র ক্ষমা চেয়েই পার পেয়ে যান ‘পাঁচভাই’ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে আত্মীয়দের নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে খেতে যান এক সরকারী কর্মকর্তা। খাওয়ার এক পর্যায়ে প্লেইট মুছা নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয় পাঁচভাইর খাবার পরিবেশক কাশেম। এসময় তার পক্ষ নিয়ে হোটেল মালিকের ছোটভাই শাহীনসহ সাত-আটজন খাবার পরিবেশক আগত পর্যটকদের ওপর চড়াও হয়। তাছাড়া তারা দলবদ্ধভাবে একজনকে মারধরও করেন।
আগত পর্যটকদের সাথে ছোট শিশুসহ মহিলাও ছিলেন। ভয়ে শিশুটি চিৎকার করতে থাকে। এসময় পাশ থেকে কয়েকজন তাদের পক্ষ নিলে তাদের সাথেও তারা দুর্ব্যবহার করে।
এদিকে, ঘটনাস্থলে র্যাব ও পুলিশের একটি দল এসে পৌঁছায়। তাছাড়া স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত হয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ভিকটিমদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। তখন সব খাবার পরিবেশকদের হাজির করলেও মূল অভিযুক্ত দুজন পালিয়ে যায়।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদের উপস্থিতিতে ভিকটিমদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পায় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে অভিযুক্তদের হোটেল থেকে স্থায়ী বহিস্কার করে লিখিত কাগজ থানায় জমা দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে খেতে আসা গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহারের এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটেছে বলে অভিযোগ আছে। তবে সেগুলো এভাবে প্রকাশ পায়নি।
তাছাড়া ওই রেস্টুরেন্টে বাসি-পঁচা এবং অপরিচ্ছন্নভাবে প্রস্তুতকৃত খাবারও পরিবেশনের দায়ে বেশ কয়েকবার মোবাইল কোর্ট জরিমানাও করেছিল।