• ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ব্রিফকেসবন্দী লাশ উদ্ধার; ১বছরেও পরিচয় মেলেনি শিশুটির

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৮, ২০১৭
সিলেটে ব্রিফকেসবন্দী লাশ উদ্ধার; ১বছরেও পরিচয় মেলেনি শিশুটির

সিলেটের পল্লবী আবাসিক এলাকায় ব্রিফকেসে পাওয়া সেই শিশুর লাশটির পরিচয় না পাওয়ায় এক বছরেও এ ঘটনার কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। এ অবস্থায় পুরো ঘটনা চিরতরে অজানা থাকার উপক্রম হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গত বছরের ২০ জানুয়ারি সিলেটের পল্লবী আবাসিক এলাকার ফটকসংলগ্ন ধোপাছড়ার খালের কালভার্টের নিচ থেকে ব্রিফকেসে পাওয়া গিয়েছিল ছেলেশিশুটির লাশ। হত্যার পর গুম করতেই লাশ ব্রিফকেসবন্দী করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা হয়। কিন্তু শিশুটির পরিচয় না পাওয়ায় মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না। একপর্যায়ে জালালাবাদ থানা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) মামলাটি স্থানান্তর করা হয়।

শিশুটির পরনে ছিল কালো রঙের সোয়েটার ও সাদা-কালো চেকের ট্রাউজার। নাকে রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জালালাবাদ থানার এসআই রবিউল হক মামলা করেন। এজাহারে শিশুটির বয়স ৭ থেকে ৮ বছর উল্লেখ করা হয়।

শিশুটির ছবি তুলে জালালাবাদ থানাসহ আশপাশের থানাগুলোতে ওয়্যারলেস বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরিচয় মেলেনি। শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ নগরের মানিকপীরটিলা গোরস্তানে দাফন করা হয়। এসআই রবিউল হক বলেন, ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় একটানা তিন মাসের তদন্তে কোনো ক্লু মেলেনি। এরপর শিশুটির পরিচয় সন্ধানে আরও তিন মাস বিভিন্ন থানায় ছবি পাঠিয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়। তাতেও পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডি সিলেট জোনের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাদি বলেন, ‘আমাদের হাতে শিশুটির মরদেহের শুধু একটি ছবি আছে। যে ছবি নিয়ে পুলিশ টানা ছয় মাস পরিচয় উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় মনে হয়েছে, শিশুটি সিলেটের বাইরের হতে পারে। পরিচয় না পাওয়ায় পুরো ঘটনা চিরতরে অজানা থাকার উপক্রম হয়েছে।’

সিলেট অঞ্চল ছাড়াও দেশের অন্য কোনো এলাকা থেকে অন্তত দেড় বছর আগে শিশু নিখোঁজ হওয়ার পরিবারগুলোকে সিআইডির সিলেট জোনে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিদর্শক আবদুল হাদি।