• ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে শুরু ‘পলো’ বাওয়া

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
নানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে শুরু ‘পলো’ বাওয়া

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : কনকনে শীত উপেক্ষা করে বার্ষিক ‘পলো’ বাওয়া উৎসবে যোগ দিলেন সৌখিন মানুষেরা। যার সংখ্যা ছাড়িয়েছে শত শত। সৌখিন মানুষেরা পলো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বার্ষিক এ উৎসবে। শনিবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে জাঁকজমকভাবে ‘পলো’ বাওয়ার এ উৎসবে সমবেত হন পাঁচ শতাধিক সৌখিন মানুষ।

এ বছর মাছের বিলে অধিক পানি ও কচুরিপানা থাকায় শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে অনেককেই। তবে সবাই যে একেবারে খালি হাতে ফিরেছেন তা নয়, কোনো সৌখিনের ‘পলো’তে মাছ ধরাও পড়েছে। এসব মাছের মধ্যে ছিল বোয়াল, শউল, মিরকা, বাউশ, রুইসহ বিভিন্ন্ন জাতের মাছ। প্রতি বছর এ দিনটিকে ঘিরে সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত জনপদ বিশ্বনাথে আনন্দের বারতা নিয়ে আসে এই ‘পলো’ বাওয়া। যা আজও আনন্দ চিত্তে ধরে রেখেছেন ‘পলো’ বাওয়া উৎসবে অংশ নেয়া শত শত সৌখিন মানুষ।

উপজেলার গোয়াহরি গ্রামের ঐহিত্য অনুযায়ী প্রতি বছরের পহেলা মাঘ এই পলো বাওয়া উত্সব অনুষ্ঠিত হয়। ‘পলো’ বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে উৎসবের আমেজ চলছিল।

পলো বাওয়া এই উৎসবে অংশ নিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে গোয়াহরি গ্রামের সৌখিন মানুষ বিলের পাড়ে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের পাড়ে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা হওয়ার পর সবাই এক সঙ্গে বিলে নেমেই শুরু করেন পলো বাওয়া। শুরু হয় ঝপ ঝপ পলো বাওয়া।

প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ উৎসবে গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুয় অংশ নেন। প্রতি বছরের মতো এবারো ৫ শতাধিক লোক পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। তবে বিল থেকে অন্যান্য বছরের তুলনায় মাছ শিকার হয়েছে কম।

গোয়াহরি গ্রামের সুনা উল্লাহ বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমার কাছে পলো বাওয়া উৎসব খুব আনন্দের। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এ উৎসবে আসি। আমাদের গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছেন।

গোয়াহরি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনোহর খান জানান, আমি পলো বাওয়ায় অংশগ্রহণ করতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছি। পলো দিয়ে মাছ শিকার একটি মজার বিষয়।