
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের সিলেট ডিভিশনে সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া রেললাইনের কুলাউড়া এলাকার দু’টি রেলসেতুর স্লিপারের বদলে লাগানো হয়েছে বাঁশের ফালি। মাত্র কয়েকদিন আগে কুলাউড়া উপজেলার মনু নদীর রেলসেতুর স্লিপারের বদলে বাঁশ লাগানো নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ মনু রেলসেতুর বাঁশ অপসারণ করে স্লিপার লাগায়। এদিকে কুলাউড়া-লংলা স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থান ফানাই ও কাপুয়া রেলসেতুতে আবারো নতুন করে লাগানো হয়েছে বাঁশের ফালি।
সরেজমিন কুলাউড়া জংশন রেল স্টেশনের ৪ কিলোমিটার দূরে রেলের ২৯ ও ২৭ নম্বর সেতু ফানাই নদী এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, রেল লাইনের পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে রেল লাইন মেরামত কর্মীরা বাইরে ও ভেতরের কাঠের স্লিপারের সঙ্গে ক্লিপ মেরে বাঁশ লাগায়। তাছাড়া রেলের কর্মীরা স্থানীয় লোকজনকে সেতুতে লাগানো বাঁশ খেয়াল রাখার জন্যও বলে যায়।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া সেকশনে রেললাইনে তিন ফিট থেকে ৩০০ ফিট দীর্ঘ সেতুও রয়েছে। এ সেকশনের ১৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে ২৫০টির বেশি ছোট-বড় সেতু রয়েছে। ৬০-৭০ বছর আগে নির্মিত এসব সেতু একবারও পুনঃনির্মিত না হওয়ায় অধিকাংশ সেতুর কাঠের স্লিপারগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অধিকাংশ সেতুর রেলস্লিপারগুলো যাতে নড়াচড়া না করে সে লক্ষ্যে বাঁশ লাগিয়ে স্লিপারগুলোর সঙ্গে ক্লিপ মারা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র আরো জানায়, এই সেকশনের রেলসেতুর ত্রুটির কারণে সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট-ঢাকাগামী ট্রেন স্বাভাবিক গতির চেয়ে কম গতিতে চলাচল করে। এব্যাপারে সেতু এলাকায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে বলে জানায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেট ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।