
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নারী-পুরুষ সকলেই একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। পারস্পারিক সহযোগিতার ফলে আমাদের সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু কিছু বিভক্তি আমাদের নারী সমাজকে পেছনে রেখে দিচ্ছে। তাই নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে গার্ল গাইডস আন্দোলনের বিকল্প নেই। গার্ল গাইডস’র মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস ও শক্তিকে আরো বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। কেননা গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের মাধ্যমে যোগ্যতা, দক্ষতা, যৌথজীবন যাপন, পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার শিক্ষা পাওয়া যায়। নারীদের আসল পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে গার্ল গাইডস এর মাধ্যমে প্রজ্জলিত মশালের ন্যায় এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী জেলা গাইড ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন।
সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে শুক্রবার সকাল ১০টায় তিন দিনব্যাপী জেলা গাইড ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিশনার এবং সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষিকা বাবলী পুরকায়স্থের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন।
সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক সচিব কামরুন নাহার শফিকের উপস্থাপনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা কমিশনার শাহানা জাফরিন রোজী। অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। পরে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে পদর্শন করে দক্ষিণ সুরমার লতিফা শফি চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, জৈন্তাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার সমাপনী ও মহাতাঁবু জলসা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী গাইড ক্যাম্পের সমাপ্তি ঘটবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মানবতার সেবায় নিয়োজিত থেকে গার্ল গাইডসরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই গাইডস আন্দোলনের মাধ্যমে আজ নারী সমাজ একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাড়িয়ে আছে। গাইড ক্যাম্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দায়িত্ববোধ, কর্মতৎপরতা সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্ঠি হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিশনার এবং সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষিকা বাবলী পুরকায়স্থ বলেন, মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। গার্ল গাইডস এর মাধ্যমে আমাদের মেয়েরা এখন আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। গাইডস আন্দোলনের মাধ্যমে নারী সমাজের আত্ম মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।