
বাংলার আলো ডেস্ক :::::::: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়সারা কাজের খবর একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ফেরত নেয়া হয়েছে। অব্যয়িত এসব প্রকল্প থেকে ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৮১ টাকা আদায় করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
টাকা আদায়কৃত প্রকল্পগুলো হলো, দশঘর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছাতিরের ‘কচরাকেলি গ্রামের রাস্তা উন্নয়ন’ প্রকল্প থেকে ৩৮ হাজার ২ শত ২০ টাকা, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য হরমুজ আলীর ‘মিয়ার বাজার বাহরামপুর গ্রামের রাস্তা মেরামত’ প্রকল্প থেকে ১৯ হাজার ১ শত ১০ টাকা, ‘চান্দভরাং গ্রামের রাস্তা উন্নয়ন’ প্রকল্প থেকে ১৮ হাজার ৭ শত ৮৬ টাকা ও ‘চান্দভরাং স্কুলের মাঠ ভরাট’ প্রকল্প থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য হবিবুল ইসলামের ‘নোয়াগাঁও গ্রামের ফকিরবাড়ীর সামন হতে কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তা মেরামত’ প্রকল্প থেকে ১৩ হাজার ৬৩ টাকা, দেওকলস ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল বারীর ‘তেতইতল জগলু মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন’ প্রকল্প থেকে ৪৩ হাজার ৭ শত ২৭ টাকা, অলংকারী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য আছমা বেগমের ‘বটতলা আবদুল গণির বাড়ি থেকে ছোবান মিয়ার বাড়ির সামন পর্যন্ত রাস্তা ও বটতলা মাজহারিয়া দাখিল মাদরাসা পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন’ প্রকল্প থেকে ৪০ হাজার ২ শত ৪৫ টাকা ও উপজেলার আট ইউনিয়নের ‘অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির শেষ কিস্তি টাকা কর্তণ এবং সরকারি খাতে জমা ৯ লক্ষ ৮১ হাজার ২ শত ৩০ টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিক উদ্দিন জানান, এসব প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ ওঠায় অব্যয়িত বিভিন্ন প্রকল্পগুলো থেকে ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৮১ টাকা ফেরত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, যে সব প্রকল্পে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সে সব প্রকল্পের টাকা ফেরত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজের পরিমাণ অনুযায়ী বিল দিয়ে অবশিষ্ট টাকা আমরা ফেরত নিয়েছি।