• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৪, ২০১৮
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বাংলার আলো ডেস্ক :::::::: উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে।
বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি এ সংগঠনটির জন্ম হয়।
এ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে তারা ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের অধীন বিভিন্ন থানা শাখা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সকাল আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর এই কেককাটা অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার বাইরে সাংগঠনিক সকল শাখায় আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী শনিবার সরকারি ছুটির দিনে রাজধানীতে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে।
৬৯’র গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুন:গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে রাজপথে নেতৃত্ব দেয় সংগঠনটি।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুন:প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে যে আন্দোলনের সূচনা করেন সে আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল ছাত্রলীগ। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ।