
বাংলার আলো ডেস্ক ::::::: বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা জয়ের জন্য মূল ম্যাচের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ২ বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা। ৩ বলে তখনও প্রয়োজন ছিল ৯ রানের।
ওভারের চতুর্থ বলটি স্টোকস মারেন মিড উইকেটের দিকে। সেখান থেকে বলটি কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে ছুড়ে মারেন মার্টিন গাপটিল। সেই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য প্রাণপণে ছুটেন স্টোকস। গাপটিলের ছোড়া বলটি উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছানোর আগেই তার ব্যাটে লেগে চলে যায় সীমানার বাইরে। ফলে ৬ রান উপহার পান ইংলিশরা। তাদের এ রান উৎসর্গ করেন অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও মারাইস এরাসমুস।
এতেই ট্রফি নির্ধারণী ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। নিউজিল্যান্ডের সমান ২৪১ রান করে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। তাতেও স্কোর সমান, ১৫ করে; অর্থাৎ টাই। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি সংখ্যার বিচারে চ্যাম্পিয়ন হন স্বাগতিকরা। শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় কিউদের।
ফাইনালি লড়াই শেষে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ওই ওভার থ্রোতে আম্পায়ারদের দেয়া ৬ রান। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ঘি ঢেলে সেই আগুনে আরও উসকে দিয়েছেন সাবেক বিশ্বসেরা আম্পায়ার সাইমন টাফেল। তার মতে, এটি পরিষ্কার ভুল সিদ্ধান্ত আম্পায়ারদের। নিয়মানুযায়ী, ৫ রান পায় ইংল্যান্ড। বিশ্ব ক্রিকেটের অধিকাংশ নায়ক-মহানায়করাও তাতে সম্মতি দিচ্ছেন। নিয়মের সংশোধন, পরিবর্ধন, পরিমার্জনে মতামত দিচ্ছেন।
এ ঘটনার সাক্ষী খোদ স্টোকস। এ নিয়ে বিষোদগার হলেও মুখে কুলুপ এঁটে আছেন তিনি। একদমই চুপ, কোনো কথায় বলছেন না তিনি। অবশেষে তার হয়ে ব্যাট ধরলেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। তিনি জানালেন, ওভার থ্রো থেকে ৪ রান নিতে চাননি স্টোকস। ম্যাচশেষে আম্পায়ারদের কাছে যায় সে। গিয়ে সেই ৪ রান ফিরিয়ে নিতে বলেন, যা নিজ চোখে দেখেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন।
অ্যান্ডারসন বলেন, সেই ঘটনার পর আমি ভনের সঙ্গে আলাপ করছিলাম। সে দেখেছিল স্টোকসকে ম্যাচশেষে আম্পায়ারের কাছে গিয়ে কথা বলতে। বেন বলেছিল, সেই ৪ রান আমাদের দরকার নেই। রানগুলো আপনারা কেটে নেন। কিন্তু যেহেতু এটি নিয়মে আছে, তাই কোনো উপায় ছিল না।