
বাংলার আলো ডেস্ক :::::::: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী তানভির হোসেন তুহিন (১৮) হত্যা মামলার মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাতে নগরী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মূল আসামি কামরুল (১৬) ও ফারুক (১৫)।
র্যাব-৯ প্রেরিত এক খুদেবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি কোর্সের শিক্ষার্থী তুহিনের জুতা ক্লাসের সামনে থেকে হারিয়ে যায়। এ নিয়ে সহপাঠী কামরুলের সাথে তর্কাতর্কি হয় তার। তর্কের জেরে দুপুরে দলবল নিয়ে এসে তুহিনকে মারধর করে কামরুল। এ সময় কাঠের টুকরো দিয়ে তুহিনের মাথায় আঘাত করে তারা। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে দুপুরে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বিকেলে ঢাকায় যাওয়ার পথে সে মারা যায়। তুহিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র।
এর আগে বুধবার রাতেই দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলী এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে আবু তায়েফকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতেই নিহত তুহিনের চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে তায়েফ, কামরুলসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় তায়েফকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তায়েফকে সিলেট মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের অদালতে হাজির করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে বলে জানান মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন। এরপর তায়েফকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।