
বাংলার আলো ডেস্ক :::::::: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বদলি করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) পরিবেশমন্ত্রী হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তার চোখে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরই তাদেরকে বদলি করা হয়।
এছাড়া হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবারের মান উন্নত করার জন্য ঠিকাদারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বদলি হওয়া কর্মচারীরা হচ্ছেন- হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মাছুম উদ্দিন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. মৌলা মিয়া। তাদের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালককে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে।
৬ নভেম্বর বুধবার মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহজাহান কবীর চৌধুরী জনস্বার্থে তাদের বদলি করেন। আদেশের তিনদিনের মধ্যে তাদেরকে নতুন কর্মস্থলে যাওয়ার কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবারের মান উন্নত করার জন্য পরিবেশনকারী ঠিকাদার মো. আতাউর রহমানকে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মো. দীদার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় এক ব্যক্তি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মদ হোসেন বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বলেন, ‘চালক এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বদলি করা হয়েছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশসহ কর্মক্ষেত্রে তাদের অবহেলা ও নানা কারণে তাদের বদলি হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রী মহোদয় পরিদর্শন করে খাবারের মানের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এজন্য ঠিকাদারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। এ সময় মন্ত্রীর চোখে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে।