• ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

১৬তম স্প্যানে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর আড়াই কিলোমিটার

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৯, ২০১৯
১৬তম স্প্যানে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর আড়াই কিলোমিটার

বাংলার আলো ডেস্ক ::::::::  মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটির ওপর বসেছে ‘৩-ডি’ নম্বরের ১৬ তম স্প্যান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১টায় মাওয়া প্রান্তে এ স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর মূল অবকাঠামো দৃশ্যমান হলো ২ হাজার ৪০০ মিটার তথা ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ নামের ক্রেনবাহী ভাসমান জাহাজ সকালে দুই খুঁটির মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে নোঙর করে।

এরপর পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় খুঁটির উচ্চতায়। রাখা হয় দুই খুঁটির বেয়ারিংয়ের উপর। স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকৌশলীরা স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন।

প্রকৌশলীরা জানান, গত ১৪ অক্টোবর সকালে জাজিরা প্রান্তের চর এলাকা থেকে ‘৪-ই’ স্প্যানটি বহন করে ‘তিয়ান-ই’ নামের ক্রেনবাহী ভাসমান জাহাজটি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির সামনে নোঙর করে রাখা হয়। তার ৩ মাস ২৩ দিনের মাথায় ২২ অক্টোবর স্থায়ীভাবে বসানো হয় ১৫ তম স্প্যান।

মঙ্গলবার ২৮ দিনের মাথায় মাওয়া প্রান্তের ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হলো ১৬ তম স্প্যান। আর এ স্প্যানটি বসানোর পর মূল সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান হলো ২ হাজার ৪০০ মিটার।

প্রকৌশলীরা আরও জানান, মূল সেতুর সব খুঁটির পাইল ড্রাইভের কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩২টির কাজ শেষ হয়েছে।

চীন থেকে মাওয়ায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে এ পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান এসেছে। যার মধ্যে ১৬টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে খুঁটির উপর।

এছাড়া চারটি স্প্যান মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ও নয়টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় আছে স্থাপনের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে।

২০২১ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দ্বিতল। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর অবকাঠামো। নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন ও উপর দিয়ে চলবে যানবাহন।