জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর মধ্যে ভূমি জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই মেয়ের জামাই আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীবের আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সিলেট জেলা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানিয়েছেন, গত ১০ জুলাই ওই দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরোয়ার জাহান। বুধবার অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাগীব আলীর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুনানির তারিখ পেছানোর আবেদন জানান তার আইনজীবী। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
সিলেট নগরের পাঠানটুলার উপকণ্ঠে ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা তারাপুর বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী।
